হিমুর মধ্যদুপুর pdf বই ডাউনলোড । ’হিমু, তুই আমাকে একটা কিডনী দিতে পারবি? আমার একটা কিডনী দরকার।’
মানুষজনের কথায় হকচকিয়ে যাওয়া কিংবা বিভ্রান্ত হওয়া আমার স্বভাবে নেই। তারপরেও মাজেদা খালার কথায় হকচকিয়ে গেলাম। ধানমিন্ড ২৭ নাম্বার রোডে গাড়ি থামিয়ে তিনি আমাকে ধরেছেন। এখন কিডনী চাচ্ছেন। তাঁর কথার ভঙ্গিতে বিরাট তাড়াহুড়া। মনে হচ্ছে এই মূহুর্তেই কিডনী দরকার।
কথা বলছিস না কেন? একটা কিডনী দিবি?
-কেন দেব না?
থ্যাংকস, গাড়িতে উঠ। ড্রাইভারের পাশে বোস। চল বাসায় যাই।
-কিডনী কি বাসায় নিয়েই কেটেকুটে রেখে দেবে? ডাক্তার কাটবে না-কি তুমি নিজেই কাটবে? ধারালো স্টেরিলাইজস ছুরি-কাঁচি আছে তো?
অকারণে কথা বলিস কেন? গাড়িতে উঠ।
আরও দেখুনঃ আজ হিমুর বিয়ে pdf বই
আমি গাড়িতে উঠলাম। গাড়িতে AC চলছে। আরামদায়ক শীতলতা। বাইরে বৈশাখ মাসের ঝাঁঝালো রোদ। শহর পুড়ে যাচ্ছে এমন অবস্থা। এই রোদের একটা নাম আছে – কাকমরা রোদ। কাকের মতো কষ্টসহিঞ্চু পাখিও এই রোদে হিট স্ট্রোকে মারা যায়।
আমি আজ দুটা কাককে মরে থাকতে দেখেছি। মৃত্যুর পর কাকরা কোথায় যায় কে জানে। তাদেরও কি স্বর্গ-নরক আছে? কাকদের স্বর্গ কেমন হবে? আমার ধারণা তাদের স্বর্গে একটু পর পর থাকবে ডাস্টবিন। ডাস্টবিন ভর্তি ময়লা-আবর্জনা। ফেলে ছড়িয়ে আবর্জনা খাও। কেউ কিছু বলবে না।
খালা বললেন, কিডনী দিতে হবে শুনে তুই দেখি ভ্যাবদা মেরে গেছিস। দুটা কিডনী মানুষের কোন দরকার নাই। একটাতেই হেসেখেলে দিন চলে।
-আম বললাম, দুটা কিডনীতেও তো অনেকের চলে না। অন্যদেরটা নিতে হয়।
খালা বললেন, বাজে তর্ক আমার সঙ্গে করবি না। এই গরমে তর্ক শুনতে ভালো লাগে না।
-আমি বললাম, আচ্ছা আর তর্ক করবো না। শীত আসুক। নগর শীতল হোক। তখন তর্ক।
আরও দেখুনঃ হিমু রিমান্ডে pdf বই ডাউনলোড
আখের রস খাবি? গরমের সময় আখের রস শরীরের জন্যে ভাল। অনেক এন্টি ওক্সিডেন্ট আছে। খাবি?
-খাব।
দুটা আখ থেকে এক গ্লাস রস পাওয়া যায়। হালকা সবুজ কালার। এর মধ্যে লেবুর রস আর সামান্য বিট লবণ দেয়, বরফের কুচি দেয়। খেতে অসাধারণ। আমি রোজ এক গ্লাস করে খাচ্ছি।
নিচে হিমুর মধ্যদুপুর pdf বই এর স্ক্রিনশট ও ডাউনলোড লিংক দেওয়া হলোঃ
প্রকাশকঃ বইয়ের ধরণঃ উপন্যাস বইয়ের সাইজঃ 4.79 MB প্রকাশ সালঃ 2009 ইং বইয়ের লেখকঃ হুমায়ূন আহমেদ
ডাউনলোড সার্ভার-১ঃ Download Now