লিলুয়া বাতাস pdf বই ডাউনলোড । আমার বড়খালা কিছুদিন হলো ভূত দেখছেন। ঠাট্টা না, সত্যি! ভূতগুলি তার শোবার ঘরের চিপায় চাপায় থাকে। তাঁকে ভয় দেখাবার চেষ্টা করে। তিনি ধমক দিয়ে তাদের বের করে দেন। এই তো কিছুক্ষণ আগের কথা, আমি আমার ঘরে এসে জুতা ব্রাস করছি (আমার জুতা না, বাবার জুতা।
তিনি আয়নার মতো ঝকঝকে জুতা ছাড়া পায়ে দেন না), তখন শুনলাম বড়খালা কাকে যেন ধমকাচ্ছেন। চাপা গলায় ধমক। আমি জুতা হাতেই বড়খালার ঘরে ঢুকে দেখি তিনি খাটের সামনে উবু হয়ে বসে আছেন। তাঁর হাতে একটা শলার ঝাড়। তিনি ঝাড় নাড়িয়ে নাড়িয়ে বলছেন, বের হ বলছি। বের হ। পুলাপান ভর্তি বাড়ি। তুই এদের ভয় দেখাবি ? ঝাড় মেরে আজ তোর বিষ নামায়ে দেব। বদমাশ!
আমি বললাম, কার সঙ্গে কথা বলছ ?
বড়খালা বললেন, বাবলু, জুতা দিয়ে তুই এর গালে একটা বাড়ি দে তো। এমন বাড়ি দিবি যেন এর চাপার দাঁত নড়ে যায়। বদমাইশটা খাটের নিচে।
আমি খাটের নিচে উঁকি দিলাম। দুটা ট্রাংক, একজোড়া স্যান্ডেল, একটা টিফিন কেরিয়ার এবং প্লাস্টিকের ছোট লাল বালতি ছাড়া আর কিছু নেই। আমি বললাম, খালা, কিছু দেখছি না তো।
খালা স্বাভাবিক গলায় বললেন, চলে গেছে ! এর ভাগ্য ভালো। জুতার বাড়ি খাওয়ার আগেই গেছে।
আরও দেখুনঃ মধ্যাহ্ন pdf বই ডাউনলোড মধ্যাহ্ন ২ pdf বই ডাউনলোড
আমি বললাম, জিনিসটা কী ?
খালা চেয়ারে বসতে বসতে বললেন, পিচকা ভূতটা। এইটাই বদের হাড্ডি। বাবলু, টিভিটা ছাড় তো। আর পিছনের পর্দা টেনে দে। তোর মাকে বল আমাকে কড়া করে যেন এক কাপ চা দেয়। চিনি কম দিতে বলবি। এরা চা ঠিকমতো বানাতে পারে না। আধা কাপ চায়ে চিনি দেয় তিন চামচ। এক চুমুক দিলে কলিজা পর্যন্ত মিষ্টি হয়ে যায়।
আমার খালার নাম মাজেদা বেগম। গত সাত বছর ধরে তিনি এবং তাঁর বড়ছেলে জহির আমামদের সঙ্গে থাকেন। খারার স্বভাবে আচার-আচরণে কোনো রকম অস্বাভাবিকতা নেই। শুধু মাঝে-মধ্যে ভূত দেখেন, এই ভূত দেখার মধ্যেও কোনো বাড়াবাড়ি নেই। হৈচৈ চিৎকার নেই। যেন ভূত-প্রেতের দেখা পাওয়া মানব জীবনের স্বাভাবিক ঘটনার একটি।
নিচে লিলুয়া বাতাস pdf বই এর স্ক্রিনশট ও ডাউনলোড লিংক দেওয়া হলোঃ
প্রকাশকঃ অন্যপ্রকাশ বইয়ের ধরণঃ উপন্যাস বইয়ের সাইজঃ 4.30 MB প্রকাশ সালঃ 1929 ইং বইয়ের লেখকঃ হুমায়ূন আহমেদ
ডাউনলোড সার্ভার-১ঃ Download Now