বিবর্ণ তুষার pdf বই ডাউনলোড । টেবিলের তলা থেকে খুব ধীরে ধীরে একটা তেলাপোকা বের হয়ে এল। মাঝরাতে পানি খেতে ওঠার সময় রান্নাঘরে মাঝে মাঝে যে-অর্ধস্বচ্ছ ছোট তেলাপোকা দ্রুত পালিয়ে যেতে চেষ্টা করে, এটা মোটেও সেরকম নয়। এটা মোটা এবং বড়। গায়ের রং গাঢ় বাদামী, প্রায় কালচের কাছাকাছি। লম্বা শুড় এবং বড় বড় চোখ। একেবারে দেশের তেলাপোকা।
দেশে স্টোর রুমে চালের টিনের পিছনে যে তেলাপােকা লকিয়ে থাকে এবং বাদলা দিনে হঠাৎ করে একটি দুটি ক্ষেপে গিয়ে অন্ধকার থেকে বের হয়ে এসে বসার ঘরে উড়তে শুরু করে, মেয়েমহলে আতঙ্ক জাগিয়ে দেয় এটি সেই তেলাপোকা। তারিক অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকে, লস এঞ্জেলসে এই তেলাপোকা কোথা থেকে এল? যদি এসেই থাকে, কারো রান্নাঘরের কোণায় না গিয়ে। এই ল্যাবরেটরিতে কেন?
তারিক হাতের প্রোবটি টেবিলে রেখে উবু হয়ে তেলাপোকটির দিকে তাকাল। এটি দেশের তেলাপোকার তো বড় হতে পারে, কিন্তু সেরকম চালাক-চতুর মনে হচ্ছে না। ভাবভঙ্গি খানিকটা নির্জীবের মতো। টেবিলের তলা থেকে বের হতে গিয়ে মনে হয় সমস্ত শক্তি নিঃশেষ করে ফেলেছে, খানিকটা দম নিয়ে আবার এগিয়ে যাবে। তারিক পা দিয়ে একটু শব্দ করল, তেলাপোকাটি অলসভাবে একটু শুড় নেড়ে ব্যাপারটা বোঝার চেষ্টা করল বলে মনে হল, কিন্তু তার বেশি কিছু নয়। দেশের তেলাপোকা হলে এতগুণ হাওয়া হয়ে যেত।
তারিক খানিকক্ষণ তেলাপোকাটি লক্ষ করে সাবধানে শুড় ধরে ঝুলিয়ে তোলার চেষ্টা করল। সাপ, জোক কিংবা যে-কোনো লম্বা এবং পিছল জিনিস দেখলে তার কেমন জানি না ঘুলিয়ে আসে, কিন্তু পোকামাকড়ে তার বেশি ঘেন্না নেই।
তেলাপোকাটি এত সহজে তাকে তার শুড় ধরে টেনে তুলতে দেবে, তারিক সেটা মোটেও আশা করে নি। শুড়টা সরিয়ে নেবার একটা দুর্বল চেষ্টা করে কেমন জানি হাল ছেড়ে দিল। তারিক তেলাপোকাটি চোখের কাছে এনে দেখে, কে জানে হয়ততো এটি বদ্ধ তেলাপোকা কিংবা কে জানে হয়তো এটা অসুস্থ। কে জানে হয়তো এটা শোকাহত, কীটপতঙ্গের বুদ্ধিবৃত্তি নিশ্চয়ই নিচুস্তরের, কিন্তু মানুষ আর কতটুকু জানে?
তারিক তেলাপোকাটি মেঝেতে নামিয়ে রাখতে যাচ্ছিল, ঠিক তখন দরজা খুলে শ্যারন এসে ঢুকল।
বিবর্ণ তুষার বই
স্যারকে দেখাল। স্যার অবাক হয়ে পানির উষ্ণতা পরীক্ষা করতে করতে বললেন, গ্রামদেশে একটা কথা আছে, গ্রাম্য কথা, মূর্খ অশিক্ষিত কথা, পেটে গু থাকলে জিলিপি বানিয়ে ইয়ে করা যায়—এই আমেরিকার মানুষের পেটে গু আছে!
সরকার স্যার সময় নিয়ে গোসল করে একটা লুঙ্গি পরে বের হলেন। তাঁকে দেখে বেশ সজীব দেখাতে লাগল, ছোট একটা চিরুনি দিয়ে পাতলা হয়ে যাওয়া চুল সমান। করতে করতে বললেন, জায়নামাজটা দে দেখি, নামাজটা পড়ে ফেলি।
তারিকের কোনো জায়নামাজ নেই, কখনো ছিলও না। মাথা চুলকে বলল, একটা পরিষ্কার টাওয়েল দিলে হবে না স্যার?
হবে। পশ্চিম কোন দিকে?
তারিক দেখিয়ে দিতে গিয়ে থেমে গেল, তার মনে পড়ল এখানে নামাজ পশ্চিম দিকে মুখ করে পড়ে না। বলল, স্যার, আপনাকে তো পূর্ব দিকে মুখ করে নামাজ পড়তে হবে।
পূর্ব দিকে?
হ্যা, মক্কার দিকে মুখ করে নামাজ পড়ার কথা। এখান থেকে মক্কা হচ্ছে পূর্ব দিকে। একটু দক্ষিণ ঘেঁষে।
সরকার স্যারের খানিকক্ষণ লাগল ব্যাপারটা বুঝতে। কারণ তিনি যানেন না বিবর্ণ তুষার pdf বই ডাউনলোড কীভাবে করতে হয়। যখন বুঝলেন, তখন তিনি একেবারে ছেলেমানুষের মতো খুশি হয়ে উঠলেন। মুখ উজ্জ্বল করে বললেন, কী তিলিসমাতি ব্যাপার! দুনিয়ার উল্টা দিকে চলে এসেছি!
আরও দেখুনঃ বিজ্ঞানী অনিক লুম্বা pdf বই ডাউনলোড বিজ্ঞানী সফদব আলীর মহা মহা আবিষ্কার pdf বই
সরকার স্যার নামাজ পড়তে শুরু করলেন। সুর করে সূরা পড়ছেন, বেশ লাগে। শুনতে, কেন জানি ছেলেবেলার কথা মনে পড়ে যায়। তারিক এই ফাঁকে টেলিফোন করে পুলিশকে সন্ধেবেলার ব্যাপারটি জানিয়ে রাখল। পুলিশ ব্যাপারটা নিয়ে খুব একটা গা করল বলে মনে হল না। মনে হয় এ ধরনের ব্যাপার প্রায় রােজই ঘটছে, তবু পুলিশের লােকটি তারিককে খুশি করার জন্যে তার নাম-ঠিকানা, টেলিফোন নাম্বার টুকে রাখল।
খেতে বসে রান্নার আয়োজন দেখে স্যার চোখ কপালে তুলে বললেন, তুই রেঁধেছিস সবকিছু?
না হলে কে রাঁধবে স্যার? আমার কি আর বাবুর্চি আছে?
স্যার মুরগির গোশত প্লেটে নিয়ে বললেন, একী! এই মুরগি তো দেখি হাতির সাইজ!
জ্বি স্যার। হরমোন দিয়ে বড় করে রাখে। যারা খায় তারাও নাকি ধীরে ধীরে হাতির সাইজ হয়।
স্যার হা-হা করে হেসে বললেন
নিচে বিবর্ণ তুষার pdf বই এর স্ক্রিনশট ও ডাউনলোড লিংক দেওয়া হলোঃ
প্রকাশকঃ প্রতীক প্রকাশনী বইয়ের ধরণঃ উপন্যাস বইয়ের সাইজঃ 15.3 MB প্রকাশ সালঃ 1993 ইং বইয়ের লেখকঃ মোহাম্মদ জাফর ইকবাল
ডাউনলোড সার্ভার-১ঃ Download Now
বই ডাউনলোড করতে কোন সমস্যা হলে অথবা নতুন কোন বইয়ের জন্য রিকুয়েস্ট করতে আমাদের Facebook Page অথবা Facebook Group এ জয়েন করুন