হিমুর নীল জোছনা pdf বই ডাউনলোড । ঝুম বৃষ্টির শব্দে ঘুম ভাঙল। এই বৃষ্টির আরেক নাম আউলা ঝাউলা বৃষ্টি। কিছুক্ষণ দক্ষিণ দিক থেকে ফোঁটা পড়ছে, কিছুক্ষণ উত্তর দিক থেকে। মাঝে মাঝে বাতাসের ঝাপ্টা। সামান্য বিরতি, আবার শুরু। মেসবাড়ির একটা অংশে টিনের ছাদ। সেখানে শিলাবৃষ্টির ঝনঝন শব্দও হলো। ব্যাপারটা কী?
নভেম্বর মাস বৃষ্টি-বাদলার মাস না। আকাশে অতিরিক্ত কার্বন-ডাই-অক্সাইডের জন্যে নিশ্চয়ই কোনো গড়বড় হয়েছে। আষাঢ়-শ্রাবণে বৃষ্টি নেই। নভেম্বর-ডিসেম্বরে বৃষ্টি। হিমালয়ের বরফ গলে যাচ্ছে। হিমবাহ দক্ষিণ মেরু ছেড়ে সাগরে ভাসতে শুরু করেছে।
আরও দেখুনঃ হিমুর একান্ত সাক্ষাৎকার pdf বই ডাউনলোড
পেঙ্গুইন পাখিরা ডিম দিচ্ছে না। সিল মাছরা পানি ছেড়ে গম্ভীর ভঙ্গিতে ডাঙায় বসে আছে। পৃথিবীর চৌম্বক শক্তিতেও নাকি কী সব হচ্ছে। উত্তর মেরু হয়ে যাবে দক্ষিণ মেরু। আমাদের কাছের মালদ্বীপ সমুদ্রে তলিয়ে যেতে শুরু করেছে। ভবিষ্যতে মালদ্বীপ সমুদ্রে তলিয়ে যেতে শুরু করেছে।
ভবিষ্যতে মালদ্বীপ ফুটবল টিমের সঙ্গে বাংলাদেশ হয়তো আর সেমিফাইনাল খেলবে না – এমন দুশ্চিন্তা নিয়ে বিছানায় উঠে বসতেই শুনলাম, ভাইজন, ঘুম ভাঙছে? গুড মর্নিং ডিয়ার স্যার।
মাথা ঘোরালেই প্রশ্নকর্তাকে দেখতে পাব। মাথা না ঘুরিয়ে জানালার দিকে তাকিয়ে থাকলাম। কিছুক্ষণ বৃষ্টি দেখা থাক। এই বৃষ্টি বেশিদিন দেখা যাবে না। পত্রিকায় পড়েছি – জলবায়ু যেভাবে বদলাচ্ছে তাতে বাংলাদেশে ভবিষ্যতে বৃষ্টি হবে না। বৃষ্টি হবে আরবে। উটের বদলে তারা কোষা নৌকায় চলাচল করবে। বাংলাদেশ হবে মরুভূমি। আমরা উটের পিঠে চড়ব। ভাত-মাছের বদলে ডিনার করবো খেজুর দিয়ে।
আরও দেখুনঃ হিমুর মধ্যদুপুর pdf বই ডাউনলোড
ভাইজান কি একটু আমাদের দিকে তাকাবেন? সিম্পল রিকোয়েস্ট। আমি তাকালাম এবং সঙ্গে সঙ্গে মনে হলো আসলে আমার ঘুম ভাঙে নি। এখনো ঘুমুচ্ছি এবং স্বপ্ন দেখছি। স্বপ্ন ছাড়া এই দৃশ্য দেখা সম্ভব না। দেখলাম, বিছানার পাশে হাতলভাঙ্গ চেয়ারে স্বয়ং কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বসে আছেন। গায়ে আলখাল্লা। তিনি কলা দিয়ে পাউরুটি খাচ্ছেন। বেশ আগ্রহ করে খাচ্ছেন।
নিচে হিমুর নীল জোছনা pdf বই এর স্ক্রিনশট ও ডাউনলোড লিংক দেওয়া হলোঃ
প্রকাশকঃ বইয়ের ধরণঃ উপন্যাস বইয়ের সাইজঃ 4.21 MB প্রকাশ সালঃ 2010 ইং বইয়ের লেখকঃ হুমায়ূন আহমেদ
ডাউনলোড সার্ভার-১ঃ Download Now