ধুমাবতীর মন্দির pdf বই ডাউনলোড । নদীয়া জেলার মফস্বলগুলোর মধ্যে চাকদহ অত্যন্ত পরিচিত একটি নাম। এমনিতে জেলার আর পাঁচটা মফস্বলের সঙ্গে এই এলাকার খুব একটা পার্থক্য না থাকলেও, জায়গাটির ইতিহাস অঞ্চলটির নামকরণ সম্বন্ধে অনুসন্ধিৎসু মানুসের কৌতুহলের উদ্রেক করে বৈকি।
পুণ্যতোয়া গঙ্গা বয়ে চলেছে এই শহরের পাশ দিয়ে। বহুকাল পূর্ব সাহেবী আমলে, এই চাকদহের নদীর পাড়ে ছিল এক বৃহৎ মহাশ্মমান। বহু দূর দূর থেকে সেখানে আনা হত মৃতদেহ। তৎকালীন বাঙালি হিন্দুদের বিশ্বাস ছিল যে ওই শ্মশানে মৃতদেহের শেষকৃত্য সম্পন্ন করতে পারা অত্যন্ত পুণ্যের কাজ। চাকদহের এই মহাশ্মশানে পূজিত হতেন ভয়ানক দর্শন জাগ্রত শ্মশানকালী। শ্মশানকালীর পায়ে মৃতদেহ সঁপে দিয়ে মৃতের বাড়ির লোকজনেরা অনুভব করতেন এক স্বর্গীয় প্রশান্তি।
পুরাণমতেও এই চাকদহকে এক মহাগুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল বলে গণ্য করা হয়। পুরাণে লেখা আছে, ভগীরথ যখন তাঁর কঠোর তপস্যায় গঙ্গানদীকে মর্তে আনতে সক্ষম হন, তখন সেই আগমনকালে এই চাকদহের পুণ্য ভুমিতেই আটকে গিয়েছিল তাঁর রথের চাকা অর্থাৎ চক্র, সেই থেকে সৃষ্টি হয় দহের। সেই ‘চক্রদহ’ থেকেই নাম চাকদহ, তারপর লোকমুখে চাকদা।
আরও দেখুনঃ শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় রহস্য সমগ্র pdf বই ডাউনলোড দেখা হওয়া pdf বই ডাউনলোড
এই চাকদহের সাড়ে পনেরো বর্গ কিলোমিটার জুড়ে রয়েছে প্রচুর গ্রাম। এরই মধ্যে একটি হল, ডুমুরদহ। ডুমুরদহের ইতিউতি বাস করে নানা সম্ভ্রান্ত পরিবার। ডুমুরদহ চাকদহ থেকে বেশ কিছুটা দুরে হলেও তা চাকদহেরেই তফসিলভুক্ত।
হিন্দু, মুসলিম সব জাতেরেই মিলেমিশে সহাবস্থান এই স্থানে। গ্রাম না বলে মফস্বল গঞ্জ বলাই যেতে পারে জায়গাটাকে, কেননা দিন দিন উন্নয়নের জোয়ার লাগছে এখানেও। এই ডুমুরদেহের সামনাসামনি সরাটি গ্রামপঞ্চায়েতের অধীনে ডুমুরদহচরেই ঘটল ঘটনাটা।
গ্রীষ্মকালের সন্ধ্যার আলো ফুরোতে সেদিন আর খুব বেশি সময় বাকি নেই। দিনান্তে পাখির দল ফিরে যাচ্ছে যে যার বাসায়। নদীর দিক থেকে বইছে মিঠে হাওয়া। তাই প্রখর দাবদাহের পরেও সে হাওয়ার জন্য কষ্ট মালুম পড়ছে না। দিনমণি অস্তাচলে যাওয়ার এই সময়টায় শঙ্খে ফুঁ পড়ে ঘরে ঘরে।
নিচে ধুমাবতীর মন্দির pdf বই এর স্ক্রিনশট ও ডাউনলোড লিংক দেওয়া হলোঃ
প্রকাশকঃ বইয়ের ধরণঃ উপন্যাস বইয়ের সাইজঃ 36.5 MB প্রকাশ সালঃ ইং বইয়ের লেখকঃ মনীষ মুখোপাধ্যায়
ডাউনলোড সার্ভার-১ঃ Download Now
বই ডাউনলোড করতে কোন সমস্যা হলে অথবা নতুন কোন বইয়ের জন্য রিকুয়েস্ট করতে আমাদের Facebook Page অথবা Facebook Group এ জয়েন করুন