ইস্টিশন pdf বই ডাউনলোড । আমার বড় ভাই দ্বিতীয় বারের মতো স্কুল ফাইন্যাল ফেল করে খুবই রেগে গেল। সাধারণ রাগ না, ভয়ংকর রাগ । কাছে গেলে ফোঁসফোঁস শব্দ পর্যন্ত শোনা যায়। বাবা আমাকে ডেকে বললেন, কয়েক দিন ওকে ঘাঁটাবি না। দূরে-দূরে থাকবি।
দ্বিতীয়বার ফেলটা সব সময় মারাত্মক। তিনবার ফেল করে ফেললে আবার সব স্বাভাবিক। ফেলটা তখন ডাল ভাতের মতো হয়ে যায়। যারা এমনিতেই রাগী স্বভাবের তিনবার ফেল করার পর তাদের মধ্যেও মোলায়েম ভাৰ চলে আসে। গলার স্বরও মেয়েলি হয়ে যায়। তিনবারে ফেলের এটাই আসল মজা।
বাবা পাঞ্জাবির পকেট থেকে পঞ্চাশ টাকার একটা নোট বের করে বললেন, যা রঞ্জুর হাতে দিয়ে আয়। এই সময় হাতে টাকা পয়সা থাকলে মনটা শান্ত থাকে। মন শান্ত থাকা এখন বাঞ্ছনীয়। মন শান্ত না থাকলে উল্টাপাল্টা কিছু করে ফেলতে পারে।
আমি বাবার সঙ্গে ইস্টিশনঘর পর্যন্ত যাচ্ছি। ছুটির দিনে বাবাকে ইস্টিশনঘর পর্যন্ত এগিয়ে দেয়া আমার অনেক দিনের অভ্যাস। আগে তাঁর আঙুল ধরে ধরে যেতাম। এখন আঙুল ধরতে লজ্জা লাগে। আঙুল না ধরলেও তাঁর পাশাপাশি গা ঘেঁসা চাই। বাবার গা ঘেঁসে হাটলে তার শরীরের ঘামের গন্ধ পাওয়া যায়। বাবার ঘামের এই গন্ধটা খুবই মজার। বাবা দীর্ঘ নিশ্বাস ফেলে বললেন, রঞ্জুর জন্য বড়ই চিন্তাযুক্ত। উল্টাপাল্টা কিছু না করলেই হয়।
আরও দেখুনঃ ইরিনা pdf বই ডাউনলোড ফাউনটেনপেন pdf বই ডাউনলোড
আমি বললাম, উল্টাপাল্টা কী করবে?
‘ধর ফাস নিয়ে ফেলল। তিন গজ নাইলনের দড়ি কিনে শিমুল গাছের ডালে ঝুলে পড়ল। তিনগজ এক নম্বুরি নাইলের দড়ির দাম পনেরো টাকা। পনেরো টাকা জোগাড় করা কঠিন কিছু না। মেট্রিকের রেজাল্টের পর খুব কম হলেও দেড় দুইশ ছেলে ঝুলে পড়ে। গাছে ঝ্যুলল, পুট করে জিব বের হয়ে পড়ল—সব শেষ।
‘কী সর্বনাশ!’
সর্বনাশ বলে সর্বনাশ। গাছে-মাছে সর্বনাশ। স্কুলে আমার এক ক্লোজ ফ্রেন্ড ছিল বিধু। ভালো নাম বিধায়ক আমরা ডকতাম বিন্দু বিধু। বিন্দুর মতো ছোট খাট বলেই বিন্দু বিধু। ইংরেজীতে BB. হিন্দু তো এই জন্যে পড়াশোনায় মারাত্মক টাইপ। হিন্দুরা পেয়াজ খায় না বলে পড়াশোনায় ভালো হয়।
নিচে ইস্টিশন pdf বই এর স্ক্রিনশট ও ডাউনলোড লিংক দেওয়া হলোঃ
প্রকাশকঃ বইয়ের ধরণঃ উপন্যাস বইয়ের সাইজঃ 1.28 MB প্রকাশ সালঃ 1999 ইং বইয়ের লেখকঃ হুমায়ূন আহমেদ
ডাউনলোড সার্ভার-১ঃ Download Now
বই ডাউনলোড করতে কোন সমস্যা হলে অথবা নতুন কোন বইয়ের জন্য রিকুয়েস্ট করতে আমাদের Facebook Page অথবা Facebook Group এ জয়েন করুন