শ্যামল ছায়া pdf বই ডাউনলোড । নৌকা ছাড়তেই ঝুপ ঝুপ করে বৃষ্টি পড়তে লাগল।
এ অঞ্চলে বৃষ্টি-বাদলার কিছু ঠিক নেই। কখন যে হুড়মুড়িয়ে বৃষ্টি নামবে, আবার কখন যে সব মেয় কেটে গিয়ে আকাশ ঝক্ঝকে হয়ে উঠবে, কেউ বলতে পারে না।
আমি নৌকার ভেতরে কুণ্ডলী পাকিয়ে শুয়ে পড়লাম। বেশ শীত করছে। ঠাণ্ডা বাতাসে গায়ে কাঁপন লাগে। নৌকা চলছে মন্থর গতিতে। হাসান আলি নির্বিকার ভঙ্গিতে দাঁড় টানছে। এতো বড়ো নৌকা কী জন্যে নিয়েছে কে বলবে। পানসির মতো আকৃতি। দাঁড় টেনে একে নিয়ে যাওয়া কি সোজা কথা?
এখন বাজছে ন’টা। রাত দুটোর আগে রামদিয়ে পৌছান এ নৌকার কর্ম নয়। গুণ টেনে নিয়ে গেলে হয়তো হবে। কিন্তু গুণটা টানবে কে? আমি নেই এর মধ্যে, বৃষ্টিতে ভিজে গুণের দড়ি নিয়ে দৌড়ান আমাকে দিয়ে হবে না। সাফ কথা।
বৃষ্টি দেখছি ক্রমেই বাড়ছে। বিলের মধ্যিখানে বৃষ্টির শব্দটা এমন অদ্ভুত লাগে। কেমন যেন মন খারাপ হয়ে যায়। মাঝে মাঝে আবার বাতাসে ‘হঅ’ ‘হঅ’ আওয়াজ উঠছে। প্যাঁচা ডাকার মতো। ভয় ধরে যায় শব্দ শুনে। ছেলেবেলায় এক বার এরকম শব্দ শুনে এমন ভয় পেয়েছিলাম। মানসাপোতার বিলে মাঝি দিক ভুল করেছে। চারদিকে সীমাহীন জল। বড়োরা সবাই ভয় পেয়ে চেঁচামেচি করছে। তাদের হৈচৈ-এ ঘুম ভেঙে শুনেছি সেই বিচিত্র ‘হঅ’ ‘হঅ’ আওয়াজ। আজও সেই শব্দে ভয় ধরল। কে জানে কেন। আমি কি কোনো অমঙ্গলের আশঙ্কা করছি?
আরও দেখুনঃ সকল কাঁটা ধন্য করে pdf বই ডাউনলোড সবাই গেছে বনে pdf বই ডাউনলোড
কুটকুট করে মশার কামড় খাচ্ছি। এই বিলের মধ্যে আবার মশা কোত্থেকে আস? হাত-পা আর মুখে অল্প কিছু কেরোসিন তেল মেখে নিলে হ’ত। সবাই দেখি তাই করে। হুমায়ূন ভাইও করেন। মশার উৎপাত থেকে বাঁচা যায় তাহলে। কেরোসিন মাখতে ইচ্ছে হয় না আমার। কি জানি বাবা চামড়ার কোনো ক্ষতিই করে কিনা। হয়তো গাল-টাল ঝলসে কয়লা হয়ে পড়বে। এর চেয়ে মশার কামড় অনেক ভালো। হাণ্ড্রেড টাইমস বেটার।
হুমায়ূন ভাইও দেখি আমার পাশে লম্বা হয়ে শুয়ে পড়েছেন। তাঁর ধারণা, আমি ঘুমিয়ে রয়েছি। মাথার নিচে থেকে নিঃশব্দে বালিশটা নিয়ে নিলেন।
নিচে শ্যামল ছায়া pdf বই এর স্ক্রিনশট ও ডাউনলোড লিংক দেওয়া হলোঃ
প্রকাশকঃ বইয়ের ধরণঃ উপন্যাস বইয়ের সাইজঃ 2.15 MB প্রকাশ সালঃ ইং বইয়ের লেখকঃ হুমায়ূন আহমেদ
ডাউনলোড সার্ভার-১ঃ Download Now
বই ডাউনলোড করতে কোন সমস্যা হলে অথবা নতুন কোন বইয়ের জন্য রিকুয়েস্ট করতে আমাদের Facebook Page অথবা Facebook Group এ জয়েন করুন