লীলাবতী pdf বই ডাউনলোড । রেললাইনের উপর একটা বক বসে আছে। মেছো বক। এ ধরনের বক বিলের উপর উড়াউড়ি করে। অল্প পানিতে এক ঠ্যাঙ ডুবিয়ে মাছের সন্ধানে দাড়িয়ে থাকে। এদের ডাঙায় আসার কথা না। আর যদি আসেও গম্ভীর ভঙ্গিতে রেললাইনে বসে থাকার কথা না। সিদ্দিকুর রহমান বিস্মিত চোখে বকটার দিকে তাকিয়ে রইলেন। এর ঘটনাটা কী ? এ কী চায়?
বকটা ধবধবে সাদা। পানির বকের পালক সাদাই হয়। সারাক্ষণই পানিতে ডোবাডুবি করছে। পালকে ময়লা লেগে থাকার কোনো কারণ নেই। ডাঙার বকের পালক এত সাদা না বাদামি রঙ। মেছো বক পানিতে যেমন এক ঠ্যাঙে দাড়িয়ে থাকে, রেললাইনের উপরও এক ঠ্যাঙে দাড়িয়ে আছে। মাথা নড়াচ্ছে না, শরীর নড়াচ্ছে না, স্থির দৃষ্টি ।
সিদ্দিকুর রহমানের বিশ আরো প্রবল হলো, বকটা কী দেখছে ? বিলের পানিতে এভাবে দাঁড়িয়ে একদৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকার অর্থ আছে- মাছের গতিবিধি লক্ষ করা। এখানে একটা একদৃষ্টিতে রেললাইনের পাথরের দিকে তাকিয়ে থাকার অর্থ কী ? সে কি রেললাইনের পাথর দেখছে?
ঝিকঝিক শব্দ আসছে। ট্রেন চলে এসেছে। সিদ্দিকু রহমান যেখানে দাড়িয়ে আছেন সেখান থেকে ট্রেন দেখা যাচ্ছে না। ঘন জংলায় আড়াল করে রেখেছে। কিন্তু ইঞ্জিনের শব্দ পরিষ্কার শোনা যাচ্ছে। যে কোনো মুহূর্তে ট্রেন দেখা যাবে। বকটা এখনো নড়ছে না।
আরও দেখুনঃ লীলাবতী পার্ট ৩ pdf বই ডাউনলোড লীলাবতী পার্ট ২ pdf বই ডাউনলোড
রেললাইনের কম্পন তার অনুভব করার কথা। ধ্যান ভঙ্গ হবার সময় এসে গেছে। সিদ্দিকুর রহমান বুকের ভেতর সামান্য চাপ অনুভব করলেন। অতিরিক্ত উত্তেজনায় তার এরকম হয়। বুকে চাপ ব্যথা বোধ হয়। নিঃশ্বাসে কষ্ট হয়।
রেলের ইঞ্জিনটা এখন দেখা যাচ্ছে । কয়লার ইঞ্জিন। বুনকা বুনকা ধোয়া ছাড়ছে। কী সুন্দর দৃশ্য! বকটাকেও দেখা যাচ্ছে। বক আগের মতোই স্থির হয়ে দাঁড়িয়ে। সিদ্দিকুর রহমান অস্থির বোধ করলেন। হুশ! হুশ!’ শব্দ করে বকটাকে তাড়িয়ে দিতে ইচ্ছা করছে কিন্তু গলা কেমন যেন আটকে আছে।
নিঃশ্বাস নিতেও কষ্ট হচ্ছে। বুকে চাপ ব্যথা। তিনি তাকালেন রেলের ইঞ্জিনের দিকে।ভালো স্পিড দিয়েছে। ট্রেন ছূটে যাচ্ছে বকটার দিকে। সিদ্দিকুরু রহমানের হঠাৎ মনে হলো, তিনি আর কিছু দেখতে পাচ্ছেন না।
নিচে লীলাবতী pdf বই এর স্ক্রিনশট ও ডাউনলোড লিংক দেওয়া হলোঃ
প্রকাশকঃ বইয়ের ধরণঃ উপন্যাস বইয়ের সাইজঃ 47.8 MB প্রকাশ সালঃ ইং বইয়ের লেখকঃ হুমায়ূন আহমেদ
ডাউনলোড সার্ভার-১ঃ Download Now