মধ্যাহ্ন pdf বই ডাউনলোড । হরিচরণ সাহা তাঁর পাকাবাড়ির পেছনে পুকুরঘাটে বসে আছেন। তাঁর বয়স পঞ্চাশ। শরীর শক্ত। গড়পড়তা মানুষের তুলনায় বেশ লম্বা বলেই হাঁটার সময় কিংবা বসে থাকার সময় ঝুঁকে বসেন। তাঁকে তখন ধনুকের মতো দেখায়।
তাঁর মাথাভর্তি ধবধবে শাদা চুল। হঠাৎ হঠাৎ তিনি চুলে কলপ দেন, তখন তাঁকে যুবাপুরুষের মতো দেখায়। তার পরনে শান্তিপুরী ধুতি। গরমের কারণে ধুতি লুঙ্গির মতো পরেছেন। খালি গা। তাঁর গাত্রবর্ণ শ্যামলা। আজ কোনো এক বিচিত্র কারণে তাঁকে ফর্সা দেখাচ্ছে।
সকাল দশটার মতো বাজে। এই সময়ে হরিচরণ সোহাগগঞ্জ বাজারে তাঁর পাটের আড়তে বসেন। বাজারে তাঁর তিনটা ঘর আছে। পাটের আড়তের ঘর তুলনামূলকভাবে ছোট। এই ঘরের গদিতে বসতেই তার ভালো লাগে। এখান থেকে নদীর একটা অংশ দেখা যায়। নদীর নাম বড়গাঙ।
বর্ষায় এই নদী কানায় কানায় পূর্ণ থাকে। বড় বড় লঞ্চ নিয়মিত আনাগোনা করে। তারা কারণে অকারণে ‘ভো’বাজায়। সেই শব্দ শুনতেও তাঁর ভালো লাগে। আজ বাজারে যাচ্ছেন না, কারণ তাঁর মন সামান্য বিক্ষিপ্ত। পুকুরঘাটে কিছুক্ষণ বসে থাকলে মন শান্ত হবে এই আশায় তিনি বসে আছেন। ঘাট বাঁধানো।
তিনি নিজেই গৌরীপুর থেকে কারিগর এনে ঘাট বাধিয়েছেন। কারিগরের কাজ তার পছন্দ হয়েছে। ঘাটের ধাপ সে যথেষ্ট পরিমাণে চওড়া করেছে। ভাদ্রমাসের গরমে অতিষ্ঠ হলে তিনি এই ঘাটে এসে শুয়ে থাকেন। ঠাণ্ডা পাথরের স্পর্শ বড় ভালো লাগে। পাথরের গা থেকে এক ধরনের গন্ধ এসে তাঁর নাকে লাগে। পাথরের কোনো গন্ধ থাকে না, কিন্তু এই গন্ধ কীভাবে আসে? বিষয়টা নিয়ে তিনি মাঝে মাঝে চিন্তাও করেন।
আরও দেখুনঃ মধ্যাহ্ন ২য় খন্ড pdf বই ডাউনলোড মধ্যাহ্ন ২ pdf বই ডাউনলোড
এখন আষাঢ় মাসের শুরু। গতরাতে বিরামহীন বৃষ্টি পড়েছে বলে আজ আবহাওয়া শীতল। আষাঢ় মাসের কড়া রোদ অবশ্যি আছে। সেই রোদ তাকে স্পর্শ করছে না। ঘাটের সঙ্গে লাগোয়া বাদাম গাছ তাকে ছায়া দিয়ে আছে। এই গাছের পাতা কাঠগোলাপের পাতার মতো ছায়াদায়িনী।
হরিচরণের মনরে বিক্ষিপ্ত ভাব কমল না, বরং বাড়ল।এই সঙ্গে তাঁর সামান্য শ্বাসকষ্ট শুরু হলো। শ্বাসকষ্টের উপসর্গ কিছুদিন হলো শুরু হয়েছে।
নিচে মধ্যাহ্ন pdf বই এর স্ক্রিনশট ও ডাউনলোড লিংক দেওয়া হলোঃ
প্রকাশকঃ বইয়ের ধরণঃ উপন্যাস বইয়ের সাইজঃ 12 MB প্রকাশ সালঃ ইং বইয়ের লেখকঃ হুমায়ূন আহমেদ
ডাউনলোড সার্ভার-১ঃ Download Now