নীল অপরাজিতা pdf বই ডাউনলোড । তিনি ট্রেন থেকে নামলেন দুপুর বেলা। দুপুর বলে বোঝার কোন উপায় নেই। চারদিক অন্ধকার হয়ে আছে। আকাশ মেঘে মেঘে কালো। বৃষ্টি এখনো নামেনি, তবে যে কোন মুহূর্তে নামবে বলে মনে হয়।
আষাঢ় মাসে বৃষ্টিবাদলার কোন ঠিক নেই। এই বৃষ্টি এই রোদ। ময়মনসিংহ থেকে যখন ট্রেন ছাড়ল তখন আকাশ ছিল পরিষ্কার। জানালার ওপাশে ঝকঝকে রোদ। তিন ঘণ্টা ট্রেনে কাটিয়ে ময়মনসিংহ থেকে এসেছেন ঠাকরোকোনা নামের ষ্টেশনে। কত দূর হবে চল্লিশ পয়তাল্লিশ মাইল! এই। অল্পদূরেই আকাশের এমন অবস্থা? না কি মেঘে মেঘে ময়মনসিংহ শহরও এখন ঢেকে গেছে?
ট্রেন ছেড়ে যাবার পর তার মনে হল ঠিক ষ্টেশনে নেমেছেন তো? ষ্টেশনের নাম পড়েন নি। পাশে বসা এক ভদ্রলোক বললেন, এটাই ঠাকরোকোনা – নামেন নামেন। তিনিই অতি ব্যস্ত হয়ে জানালা দিয়ে স্যুটকেস, বেতের ঝুড়ি, হ্যাণ্ডব্যাগ নামিয়ে দিলেন।
তার ব্যস্ততার কারণ অবশ্যি সঙ্গে সঙ্গে বোঝা গেল – এখানে ট্রেন এক মিনিটের জন্যে থামে। জিনিসপত্র সব নামানোর আগেই ট্রেন ছেড়ে দিল। দু’টি পানির বোতল ছিল, একটি নামানো হল। অন্যটি রয়ে গেল সিটের নীচে।
আরও দেখুনঃ নীল হাতী pdf বই ডাউনলোড নীল মানুষ pdf বই ডাউনলোড
‘স্লাগালিকুম। আপনি কি শওকত সাহেব?’
তিনি জবাব দিলেন না। অসম্ভব রােগা এবং আষাঢ় মাসের গরমে কালো কোট পরা লোকটির দিকে তাকিয়ে হাসলেন। | ‘স্যার আমার নাম মোফাজ্জল করিম। আমি ময়নাতলা হাইস্কুলের এ্যাসিসটেন্ট হেডমাস্টার।’
মোফাজ্জল করিম সাহেব দুটো হাত বাড়িয়ে দিলেন। মনে হচ্ছে হ্যাণ্ডশেক জাতীয় প্রক্রিয়ার ভেতর দিয়ে যেতে চান। মফস্বলের লোকজন হ্যাণ্ডশেক করার জন্যে দু’টো হাত বাড়ায়। এরা যা করে তাকে পাশ্চাত্যের হ্যাণ্ডশেক বলা যাবে না। প্রক্রিয়াটির নাম খুব সম্ভব মোসাহবা।
যার দ্বিতীয় অংশে আছে, কোলাকুলি। এই মুহূর্তে লোকটিকে জড়িয়ে ধরার কোন রকম ইচ্ছা তাঁর হচ্ছে না। তিনি এমন ভাব করলেন যেন বাড়িয়ে দেয়া হাত দেখতে পাননি। মোফাজ্জল করিম সাহেব তাতে খানিকটা অস্বস্তি ঠিকই বোধ করবেন। তবে মফস্বলের লোকেরা এই সব। অস্বস্তি দ্রুত কাটিয়ে উঠতে পারে।
‘করিম সাহেব আপনি ভাল আছেন তো?’
‘জ্বি স্যার ভাল। খুব ভাল। আপনার কোন তকলিফ হয় নাই তো?
নিচে নীল অপরাজিতা pdf বই এর স্ক্রিনশট ও ডাউনলোড লিংক দেওয়া হলোঃ
প্রকাশকঃ বইয়ের ধরণঃ উপন্যাস বইয়ের সাইজঃ 6.81 MB প্রকাশ সালঃ ইং বইয়ের লেখকঃ হুমায়ূন আহমেদ
ডাউনলোড সার্ভার-১ঃ Download Now