এত রক্ত কেন pdf বই ডাউনলোড । কৈলাসনগরে ভাল কলেজ থাকলেও তার খ্যাতি আগরতলার মহারাজের স্থাপিত কলেজের মতো নয়। স্কুলের শেষ পরীক্ষার ফল ভাল হওয়ায় অজয় জেদ ধরেছিল সে আগরতলায় পড়তে যাবে। কলেজ এবং হোস্টেলের খরচ চালানো ওর বাবার পক্ষে খুব কষ্টসাধ্য ছিল না।
কিন্তু তিনি চাইছিলেন ছেলে চোখের সামনে থাকুক। মুশকিল হল ওর মামাকে নিয়ে। তিনি নির্দেশ পাঠালেন, ‘ভাগ্নে যা চাইছে তাই করতে দেওয়া হোক’। সম্বন্ধীর নির্দেশ অমান্য করার ক্ষমতা শুধু হেমেন দেববর্মা কেন, ত্রিপুরার বেশির ভাগ উপজাতি মানুষের নেই।
তবে একটি ব্যাপারে হেমেনে দেববর্মা নিশ্চিত ছিলেন। তাঁর ছেলে অজয় মামার পদাঙ্ক অনুসরণ করেনি। মামাকে সে শেষবার দেখেছে তার আট বছর বয়সে। তখন থেকেই মামা আন্ডারগ্রাউন্ডে। স্বাধীন ত্রিপুরা আন্দোলনের পুরোভাগে। দশ-বারো বছর বয়সে পৌঁছালেই অনেক উপজাতি কিশোর ওই স্বাধীন ত্রিপুরার জ্বরে আক্রান্ত হয়। পড়াশুনা চুলোয় যায়। বাড়ি ছাড়ে। বিছানায় শুয়ে রোগে ভুগে তাদের মৃত্যু হয় না।
আরও দেখুনঃ ড্রাকুলা ১ম ২য় খন্ড pdf বই ডাউনলোড আমার স্বাস্থ্য আমার সত্তা pdf বই ডাউনলোড
তারা মরে বি. এস. এফ অথবা আধা সামরিক বাহিনীর গুলিতে। সেটা যদি কপালে না লেখা থাকে তা হলে পালটা জঙ্গি সংগঠনের এ কে ফর্টিসেভেন তো উঁচিয়ে থাকেই। অজয় এই আবেগে ভেসে মন দিয়ে পড়াশুনা করেছে। হেমেন দেববর্মা ছেলের কানে সুপরামর্শ ঢেলে দিয়েছেন সবসময়। হ্যাঁ, স্কুলে থাকতে ওকে কারও খপ্পরে পড়তে দেননি।
কলেজটি নামকরা। হোস্টেলের ব্যবস্থাও ভাল। দুপুরে অজয়কে তার ঘরে নিয়ে গেল দারোয়ান। তখনও রুমমেট আসেনি। একটু আগে সুপার তাকে হোস্টেলের নিয়মকানুন বুঝিয়ে দিয়েছেন। বলেছেন, নিয়ম না ভাঙলে কাউকে তাড়ানো হয় না। আর হ্যাঁ, বড়দের মুখের ওপর প্রতিবাদ না করলে তোমার কোনও অসুবিধে হবে না। শিশুবেলা থেকে শোনা এইসব উপদেশ মান্য করতে তার কোনও অসুবিধে হওয়ার কথা নয়।
সারাদিন সে ঘরে একাই ছিল। বই নিয়ে সময় কাটাচ্ছিল। সন্ধের পর দরজায় শব্দ হল। সে উঠে দরজা খুলতেই চারজন ছেলে ভেতরে ঢুকল। ওরা তার চেয়ে বয়সে বড়। বোঝা যাচ্ছে, এই হোস্টেলেই থাকে। একজন দরজাটা বন্ধ করে দিল। ওরা বসল উল্টোদিকে খালি তক্তাপোশে।
নিচে এত রক্ত কেন pdf বই এর স্ক্রিনশট ও ডাউনলোড লিংক দেওয়া হলোঃ
প্রকাশকঃ নবজাতক প্রকাশন বইয়ের ধরণঃ উপন্যাস বইয়ের সাইজঃ 5.47 MB প্রকাশ সালঃ 1971 ইং বইয়ের লেখকঃ সমরেশ মজুমদার
ডাউনলোড সার্ভার-১ঃ Download Now