হেতমগড়ের গুপ্তধন pdf বই ডাউনলোড । মাধববাবু রাগ করে বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়লেন। তা মাধববাবুর হলেও হতে পারে। এমনিতেই তিনি রাগী মানুষ। তার ওপর সাতসাকেল ঘুম থেকে উঠেই তিনি দেখেন, কাচের গ্লাসে জলে-ভেজানো তাঁর বাঁদানো দাঁতজোড়া নোই, ঘরে পরে বেড়ানোর হাওয়াই চটি দুটো হাওয়া, চশমাটাও কোথাও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এমনকী, ঘরের কোণে দড়িতে ঝোলানো গামছাখানা পর্যন্ত বেপাত্তা।
পল্টনের পোষা বাঁদরটা ছাড়া এ-কাজ আর কার হবে? দিনরাত খেয়ে-খেয়ে আর আশকরা পেয়ে-পেয়ে সেটার চেহারা হয়েছে জাম্বুবানের মতো। কাউকে বড় একটা তোয়াক্কা করে না। এর আগেও দু-চারবার তার চুরিবিদ্যে ধরা পড়েছে। একেই জাতে বাঁদর, তার ওপর অতিরিক্ত আদরে বদ হয়ে যাওয়ায় তার বাঁদরামির আর লোখাজোখা নেই।
ইচ্ছেমতো ঘরে ঢুকে তার রেডিও চালায়, ছোটদের পড়ার টবিলে গিয়ে খাতা-বই বেগোছ করে, পেনসিলের শিস ভেঙে রেখে আসে, দিনের বেলায় খুটখাট সুইচ টিপে আলো জ্বালায় বা শীতকাালে পাখা চালিয়ে দেয়। চৌবাচ্চা থেকে মগ দিয়ে জল তুলে যার-তার গাঁয়ে ঢেলে দিয়ে আসে। বড়বাবুর ইজিচেয়ারে ঠ্যাঙের ওপর ঠ্যাঙ তুলে বসে থাকে। কেউ শাসন করতে গেলে বিশাল চেহারা নিয়ে হুপহাপ করে তেড়ে আসে। বলতে কী, তার ভয়ে বাড়ির সবাই কাঁটা হয়ে থাকে।
আরও দেখুনঃ হাজার বছর ধরে pdf বই ডাউনলোড হাইজেনবার্গের গল্প pdf বই ডাউনলোড
একেবারে ত্রাক্ষ্মমুহুর্তে মাধববাবু বিছানা ছাড়েন। তারপর হরেক কাজ করতে হয় তাঁকে। বারান্দার একশো ত্রিশটা টবে গাছে চাকরদের দিয়ে জল দেওয়ানো। পুরনো আমলের বিশাল জমিদার-বাড়ির সেই জৌলুস এখন আর নেই বটে, কিন্তু বিশাল আয়তনটা এখনো আছে। আর কিছু পুরনো প্রথা এবং অভ্যাস। পিছনের দিকে একিটা মস্ত হলঘরে হরেক রকম পাখির খাঁচা।
মাধববাবুর সকালে দ্বিতীয় কাজ হলে, এইসব পাখিদের খাঁচায় ঠিকমতো দানাপানি দেওয়া হচ্ছে কি না তর তদারক করা। তারপরই শুরু হয় চার-চারটে গরুর দুধ দোয়ানো। সে সময়েও তাঁকেই সামনে থাকতে হয়। এর পর বিশাল বাগানের সর্বত্র ঘুরে ঘুরে মালিদের দিয়ে আগাছা উপড়ে ফেলা, ফুলের বেড তৈরী করা, মৌসুমী ফলের চাষ দেখা ইত্যাদি আছে। ভাল করে আলো ফোটার আগেই বাজারের লম্বা ফর্দ নিয়ে বেরিয়ে পড়তে হয়।
নিচে হেতমগড়ের গুপ্তধন pdf বই এর স্ক্রিনশট ও ডাউনলোড লিংক দেওয়া হলোঃ
প্রকাশকঃ আনন্দ পাবলিশার্স বইয়ের ধরণঃ উপন্যাস বইয়ের সাইজঃ 4.42 MB প্রকাশ সালঃ 1981 ইং বইয়ের লেখকঃ শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়
ডাউনলোড সার্ভার-১ঃ Download Now