দিঘির জলে কার ছায়া গো pdf বই ডাউনলোড । আজ বুধবার। বুধবার হলো মুহিবের মিথ্যাদিবস। মিথ্যাদিবসে সাত এগারোটা উনষাট মিনিট পর্যন্ত সে মিথ্যা কথা বলে। তার এই ব্যাপারটা একজন শুধু জানে। সেই একজনের নাম লীলা। লীলার বয়স একুশ বছর। সে ঢাকা ইউনেভর্সিটিতে পড়ে। অনার্স সেকেন্ড ইয়ার। বিষয় ইংরেজি সাহিত্য।
লীলার সবই সুন্দর। চেহারা সুন্দর, চোখ সুন্দর, মাথার কোঁকড়ানো চুল সুন্দরূ। ক্লাসে তার একটা নিক নেম আছে–সমুচা। এমন রূপবতী একটা মেয়ের নাম সমুচা কেন সেটা একটা রহস্য। নাম নিয়ি লীলার সমস্যা নেই। সে বন্ধুদের টেলিফোন করে নির্বিকার ভঙ্গিতে বলে, আমি সমুচা বলছি।
মুহিবের বয়স ত্রিশ। গায়ের রঙ কালো। বেল কালো। কালো ছেলেদের ঝকঝকে সাদা দাঁত হয়। মুহিবের দাঁত ঝকঝকে সাদা। পেপসোডেন্ট টুথপেস্ট কোম্পানি একবার তাকে টুথপেস্টের বিজ্ঞাপনের জন্যে সিলেক্ট করেছিল। ডিসেক্পর সাহের তাকে দেখে বরলেন, এই ছেলের চেহারায় তো কোনো মায়া নেই। চোখ এক্সপ্রেশনলেস। একে দেয়ে হবে না।
মুহিব বলল, স্যার, আপনাদের তো মায়ার দরকার নেই। আপনাদের দরকার দাঁত। আমার দাঁত দেখুন। আমি আস্ত সুপারি দাঁত দিয়ে ভেঙে ফেলতে পারি। একটা সুপারি আনুন দাঁত দিয়ে ভেঙে দেখাচ্ছি। দশ সেকেন্ডর মামলা।
আরও দেখুনঃ দিনের শেষে pdf বই ডাউনলোড বোতল ভূত pdf বই ডাউনলোড
ডিরেক্টর সাহেব বললেন, বাসায় চলে যাও। বাসায় গিয়ে দাঁত দিয়ে সুপারি ভাঙ। ফাজিল ছোকরা।
মুহিব বিএ পাশ করেছে আট বছর আগে। একবারে সম্ভব হয় নি। দু’বার পরীক্ষা দিয়ে থার্ড ডিভিশন পেয়েছে। রেজাল্ট বের হবার পর মুহিবের বাবা
(আলাউদ্দিন আহমেদ ) ছেলেকে বললেন, বিএ-তে থার্ড ডিভিশন ফেলের চেয়েও খারাপ। কেউ রেজাল্ট জিজ্ঞেস করলে বলবি, ফেল করেছি।
মুহিব বাধ্য ছেলের মতো মাথা কাত করে বলল, জি আচ্ছা।
আলাউদ্দিন বললেন, থার্ড ক্লাসের সার্টিফিকেটটা হাতে আসলে ছাগলকে কাঠাল পাতার সঙ্গে খেতে দিবি। থার্ড ক্লাস সার্টিফিকেট ছাগলেরর খাদ্য।
মুহিব বলল, ছাগল কোথায় পাব?
নিচে দিঘির জলে কার ছায়া গো pdf বই এর স্ক্রিনশট ও ডাউনলোড লিংক দেওয়া হলোঃ
প্রকাশকঃ বইয়ের ধরণঃ রোমান্টিক বইয়ের সাইজঃ 4.87 MB প্রকাশ সালঃ 2009 ইং বইয়ের লেখকঃ হুমায়ূন আহমেদ
ডাউনলোড সার্ভার-১ঃ Download Now