জার্মান ভাষা শিক্ষা A1 pdf বই ডাউনলোড । প্রতিটি ভাষা শেখার আগে অবশ্যই নিজ নিজ মাতৃভাষা ভালোভাবে জানা উচিৎ। এজন্য মাতৃভাষার প্রতিটি বর্ণ, অক্ষর এবং শব্দকে সঠিকভাবে জানা প্রয়োজন। যদি কেউ মাতৃভাষার প্রত্যেকটি বর্ণ, অক্ষর এবং শব্দকে সঠিকভাবে উচ্চারণ করতে পারেন তাহলে পৃথিবীর সকল ভাষা উচ্চারণ করা তার জন্য সহজ হয়ে যাবে।
মনোযোগ ব্যতিত কোনো কাজই সুসম্পন্ন করা সম্ভব নয়, তাই ভাষা শেখার ব্যাপারে আপনাকে অবশ্যই মনোযোগী হতে হবে, সেজন্য আপনাকে সময় দিতে হবে। এবং যে ভাষাটি শিখতে চাইছেন তার প্রতি আপনার ভালোভাসা এবং সম্মান থাকতে হবে। তা না হলে আপনার পক্ষে ভাষাটি শেখা সম্ভব নয়।
আরও দেখুনঃ জার্মানির বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে আবেদন করতে কত সিজিপিএ লাগে?
জার্মান ভাষা ইউরোপের সবচেয়ে চলিত ভাষা বা অধিকাংশ মানুষই এ ভাষায় কথা বলেন, এদের মধ্যে জার্মান, অস্ট্রিয়া, সুইজারল্যান্ড মানুষ মাতৃভাষা হিসেবে ব্যবহার করেন আর বেলজিয়াম, পোল্যান্ড এবং নেদারল্যান্ডের কিছু অংশের মানুষ এ ভাষায় অহরহ কথা বলেন।
জার্মান ভাষা কেন শিখবেন?
সেই বিষয়ে আমাদের বাংলাদেশের জার্মানিতে থাকা এক আপুর ফেসবুকের পোস্ট হুবহু তুলে ধরা হলোঃ
যেখানে জার্মানরা নিজেরাই বলে যে এক জীবন জার্মান শেখার জন্য যথেষ্ট নয়, সেখানে আমার কোর্স কোঅর্ডিনেটর কী বুঝে জার্মানি আসার পরপরই মাত্র দুসপ্তাহের একটা জার্মান কোর্স ঝুলিয়ে দিয়েছিল আমাদের কাঁধে, সেটা আমার এখনো মাথায় ধরে না। তখনো একাডেমিক পড়াশোনা শুরু হতে প্রায় মাসখানেক বাকি।
বলা চলে এই দুসপ্তাহের জার্মান কোর্সে অংশগ্রহণ করার জন্যই একাডেমিক পড়াশোনা শুরু হবার প্রায় মাসখানেক আগেই জার্মানিতে পাড়ি জমানো। তো প্রথমদিন ক্লাসে গিয়ে আবিষ্কার করলাম মাথায় ম্যাগি নুডুলসের মতো কোঁকড়া চুলের সুন্দরী যে ভদ্রমহিলাকে দেখা যাচ্ছে তিনি আমাদের জার্মান শিক্ষক এবং আমাদের দুজনের নাম একই, সোনিয়া! পার্থক্য কেবল এটুকুই যে তিনি নিজেকে সোনিয়া না বলে বলেন জোনিয়া! কারণ জার্মানরা ইংরেজি S-এর উচ্চারণ করে বাংলা বর্গীয়-জ এর মতো!
তো এই জোনিয়া ম্যাডাম আমাদেরকে দুই সপ্তাহ জার্মান পড়ালেন এবং এই দুই সপ্তাহের ক্লাসে তিনি একটি শব্দও ইংরেজি বলেছেন কিনা আমি মনে করতে পারছি না। দুই সপ্তাহ পরে আমরা একটা পরীক্ষাও দিলাম। সেই পরীক্ষায় আবার পাশও করলাম।
আরও দেখুনঃ জার্মানি ভিসা রিফিউজাল বা রিজেক্ট খেলে কি করবেন?
জানার মধ্যে জানলাম কেবল নতুন একটা শব্দ; গেরাডেআউস! এর মানে হচ্ছে সোজা! এর পরে আমি এবং জার্মান ক্লাসে পরিচিত হওয়া আমার এক মালেশিয়ান বন্ধুর কাছে এই শব্দটা অনেকটা কৌতুকের মতো হয়ে গেল। রাস্তায় হাঁটছি আর দুজন মিলে জোরে জোরে বলছি গেরাডেআউস, গেরাডেআউস! সোজা! সোজা!
শুরুর দিকের সেই সুখ বেশিদিন সয়নি। জার্মানিতে জার্মান ছাড়া চলা আর জলে নেমে কুমিরের সাথে যুদ্ধ করা যে এক সেটা টের পেতে কারোরই খুব বেশিদিন সময় লাগার কথা না। আমি বলছি না জার্মান ছাড়া আপনি চলতে পারবেন না।
জার্মানিতে ভাষা শিক্ষার গুরুত্বঃ
আমি বলছি জার্মান ভাষা শিক্ষা A1 জেনে জার্মানিতে পথচলা আর না জেনে চলার মধ্যে আকাশ পাতাল তফাৎ। আশপাশের মানুষ যে কী বলছে, কীসে তারা আনন্দ পাচ্ছে, কীসে তারা বিরক্ত হচ্ছে, কী বলে হেসে উঠল! রোজকার অযথা-অপ্রয়োজনীয় কথাও যে বুঝতে পারা কতটা জরুরি সেটা আমি এখানে আসার আগ পর্যন্ত বুঝতে পারিনি।
বাসে, ট্রেনে, ট্রামে কত মানুষের কত গল্প! কতরকম অনুভূতি তাদের! অথচ আমি এর কিছুরই ভাগ নিতে পারতাম না। নিজেকে কেবল এলিয়েন মনে হতো। মনে হতো আমি ভুল করে কোনো এক ভিন্ন গ্রহে চলে এসেছি এবং এই গ্রহে আমি খাপ খাওয়াতে পারছি না। আর তার একমাত্র কারণ, আমি এই গ্রহের প্রাণীদের ভাষা বুঝি না! কথা বলার চেয়েও, কথা বুঝতে পারার মধ্যে যে কী আনন্দ সেটা এরকম পরিস্থিতে যে না পড়েছে তাকে বোঝানো যাবে না।
আসার আগে কেবল ইউটিউব থেকে নিজের পরিচয় দেয়া, সাহায্য চাওয়া, কোনো কিছুর দাম জিজ্ঞেস করা এরকম একেবারে সাধারণ কিছু বাক্য শিখে এসেছিলাম। কিন্তু হায়, সমুদ্রে শিশিরে কী হয়! দশ/বিশটা মুখস্ত বাক্য দিয়ে কী আর ভাষার মতো বিশাল একটা বিষয়কে চালানো যায়?
A1 জার্মান ভাষা শিক্ষা দিয়ে জার্মানি ডাক্তারের সাথে কথোপকথনঃ
ডাক্তারের কাছে গেলাম। পুরো একটা হাসপাতালে একটা প্রাণী নেই যে ইংরেজি পারে। তখন আমি যতটুকু জার্মান জানতাম, ততটুকু ইংরেজিও যদি আমার ডাক্তার জানত তাহলে তাকে আমি বোঝাতে পারতাম সমস্যাটা কী! হায়, আমার ডাক্তার সম্ভবত সরি এবং প্লিজ মানে কী সেটাও জানে না!
গুগল ট্রান্সলেটর নিয়ে যুদ্ধ করে তাকে বোঝানোর পরে সে যে ঔষধ দিল, তিন সপ্তাহ সেটা খাওয়ার পরেও দেখি সে ঔষধ কাজ করছে না। আবার গেলাম। নির্দিষ্ট সময়ের ঘণ্টাখানেক পার হয়ে যাবার পর একজন এসে বলল, “তুমি কালকে একজন অনুবাদক নিয়ে আসো। ডাক্তার আগেরবার বুঝতে পারেনি তোমার কী হয়েছে!”
আমি হা করে তাকিয়ে থাকলাম কিছুক্ষণ। বুঝতেই যদি না পারে তাহলে সে আমাকে কীসের ঔষধ দিয়েছিল! তাছাড়া ওরাতো আমার বায়োপসিও (রোগ নির্ণয়ের জন্য শরীর থেকে মাংস কেটে নেয়া) করেছে একটা। সেখান থেকেও বুঝতে পারেনি আমার কী হয়েছে! আর এতক্ষণ বসিয়ে রাখার পরেই বা কেন আমাকে এটা বলছে!
আমিতো দেখা করার জন্য ফোনে তারিখ নিয়েই এসেছি! তখন বলতে পারেনি! এইযে এই স্বাভাবিক ক্ষোভটুকু যে ঝাড়ব সেটুকুর জন্য জার্মানের যে দৌড় থাকা দরকার, সেটাতো আমার ছিল না! সুতরাং, একটা হাসি দিয়ে বেরিয়ে গেলাম। ডাক্তার পরিবর্তন করলাম।
ট্রেনে জার্মান ভাষা শিক্ষা না থাকার আক্ষেপঃ
আরেকদিন ট্রেনে বসা। ক্লাস করে বাড়ি ফিরছি। হঠাৎ দেখি এক ছোট্ট পরী হাতে একটা পুতুল নিয়ে আমার দিকে এগিয়ে এলো। আমার সামনের ফাঁকা সিটে বসে আমার সাথে বেশ গল্প জুড়ে দিল। বাচ্চাটা প্রায় পনেরো মিনিটের মতো একাই কথা বলে গেল আমার সাথে।
আমি যতটুকু বুঝলাম তা হচ্ছে ওর হাতের পুতুলটার নাম লিলি। আর ওর নাম হচ্ছে আজরা। একটা ছোট্ট বাচ্চা আমার সাথে সেধে এসে গল্প করার চেষ্টা করছে, আর আমি বোবার মতো বসে কেবল ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে আছি। এ অনুভূতি যে কী বিশ্রী সেটা ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না। জার্মান না শিখে জার্মানি আসার জন্য ওইদিনের চেয়ে বেশি আফসোস আমার সম্ভবত আর কোনোদিন হবে না।
চাকুরীর বাজারে জার্মান ভাষা শিক্ষার গুরুত্বঃ
এখানেই শেষ নয়। বরং এগুলো ছোটখাট ঝামেলা। জার্মান ভাষা না জানার আসল আতঙ্কটার নাম হচ্ছে পড়াশোনা শেষে চাকরি না পাওয়া। জার্মান ভাষা না শিখলে চাকরি নেই ব্যাপারটা তা না। তবে যা আছে সেগুলোকে আমি ব্যতিক্রমের কাতারে ফেলব। ওগুলোকে উদাহরণ হিসেবে আনতে চাই না। আনা উচিতও না।
আপনি এসেই পড়াশোনার পাশাপাশি জার্মানও শিখে ফেলবেন এমনটা ভাবতেই পারেন। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে এখানে আসার পরে সম্পূর্ণ নতুন শিক্ষা ব্যবস্থা আর খণ্ডকালীন চাকরির চাপে পড়ে আপনি স্বাভাবিকভাবে নিঃশ্বাস ফেলার সময়টা পর্যন্ত খুঁজে পাবেন না। বিদঘুটে আবহাওয়াতো আছেই!
আরও দেখুনঃ গ্রাফিক ডিজাইনের আসল ফান্ডা pdf বই ডাউনলোড লোকে কী বলবে pdf বই ডাউনলোড
একদম শূন্য থেকে শুরু করা, আর আগে খানিকটা শিখে আসার পরে এখানে খাপ খাওয়ানোর মধ্যে অনেক তফাৎ। হাতে গোনা কিছু মানুষ পাবেন যারা একই সাথে একাডেমিক পড়া এবং জার্মান ভাষাটাকেও দখলের মধ্যে রাখতে পেরেছে। কিন্তু বেশির ভাগেরই ছন্নছাড়া অবস্থা। তিন/চার বছর পরেও ‘আমি অমুক/ ওখান থেকে এসেছি’ জাতীয় কথাবার্তার বাইরে কিছু শিখে উঠতে পারেনি।
কাউকে ছোট করার জন্য এই কথাটা বলা নয়, বরং দেশ থেকে জার্মান শিখে আসাটা কতটা জরুরি এবং বুদ্ধিমানের কাজ সেটা বোঝানোর জন্য উদাহরণটা দেয়া। কারণ, এখানে সময় চোখের পলক ফেলার আগে কেটে যায়। কোন ফাঁকে বছর ঘুরে যাবে টেরই পাবেন না! আমার জীবনের বড় ধরনের ভুলগুলোর তালিকা করতে গেলে জার্মান না শিখে জার্মানি আসাটা শুরুর দিকে থাকবে।
জার্মানে গিয়ে কি জার্মান ভাষা শিক্ষা করতে পারবেন?
জার্মান ফ্ল্যাটমেট বাদে আমি ইতোমধ্যে পাঁচজন ভিয়েতনামি ফ্ল্যাটমেট পেয়েছি এবং পাঁচজনের প্রত্যেকেই অন্তত পক্ষে B1 সমমানের জার্মান শিখে জার্মানিতে এসেছে।
তাহলে আমরা বাংলাদেশিরা কেন এত পিছিয়ে আছি? কারণ জার্মান শিখে আসার গুরত্বটা আমাদেরকে আসার আগে কেউ বলে দেয় না যে, জার্মান ভাষা শিক্ষা A1 pdf বই থেকে কিছু শিখে আস। এখানে আসার পরে জার্মান না জানার যে বিপদ সেটাও কেউ আর মুখ ফুটে বলে না। হজম করে যায়। আর নতুনরা ভাবে অমুকতো না শিখেই চলে গেছে, দিব্যি আছে, আমিও যাই! আর এটা একটা বড় ধরনের ভুল সিদ্ধান্ত। এখানে যারা জার্মান শিখে আসে তাদের জীবন এক রকম, আর যারা শিখে আসে না তাদের অন্য রকম। কোনটা কেমন সেটা আপনি নিজেই অনুমান করে নিন।
একেবারে কিচ্ছু না পারলে অন্তত জার্মান ভাষা শিক্ষা A1 pdf বই থেকে A1 লেভেলটা শিখে আসা উচিত। B1 হলে সবচেয়ে ভালো হয়। আর A2 হলেও চলে। আগে থেকে সাধারণ বিষয়গুলো জানা থাকলে নিজের আত্মবিশ্বাস যেমন বাড়ে তেমনি পরবর্তীতে শেখাও যায় দ্রুত।
“কারো যদি ইচ্ছেই থাকে যে সে উচ্চশিক্ষার জন্য জার্মানিতেই আসবে তাহলে IELTS-কে সে যতটা গুরত্ব সহকারে নেয়, জার্মানটাকেও ততটাই গুরত্ব দেয়া উচিত ”
যারা অনার্সের মাঝামাঝি বা শেষের দিকে আছে তারা চাইলেই একটা ভালো পর্যায়ের জার্মান শিখে আসতে পারে এবং এখানে ভাষার যত বাঁধা আছে তা এড়িয়ে একটা সুন্দর স্বাভাবিক জীবন শুরু করতে পারে।
একজন ভুক্তভোগী হিসেবে আমার কাছে কেউ জার্মানি আসার ব্যাপারে পরামর্শ চাইলে আমি তাকে তিনটা কাজ করতে বলব:
১. জার্মান শিখে আসুন।
২. জার্মান শিখে আসুন।
৩. জার্মান শিখে আসুন।
নিচে জার্মান ভাষা শিক্ষা A1 pdf বই এর স্ক্রিনশট ও ডাউনলোড লিংক দেওয়া হলোঃ
প্রকাশকঃ অনুবাদ প্রকাশনী বইয়ের ধরণঃ ভাষা শিক্ষা বই বইয়ের সাইজঃ 29.6 MB প্রকাশ সালঃ 2019 ইং বইয়ের লেখকঃ হেমায়েত মাতুব্বর
ডাউনলোড সার্ভার-১ঃ Download Now
বই ডাউনলোড করতে কোন সমস্যা হলে অথবা নতুন কোন বইয়ের জন্য রিকুয়েস্ট করতে আমাদের Facebook Page অথবা Facebook Group এ জয়েন করুন