ছায়াবীথি pdf বই ডাউনলোড । রাত দশটার মত বাজে। এমন কিছু রাত না, কিন্তু নায়লার অস্থির লাগছে। গেটে শব্দ হতেই সে বারান্দায় গিয়ে দাঁড়াচ্ছে। এ জায়গাটাকে বারান্দা বলা ঠিক না। জায়গাটা ছাদর অংশ। তবু নায়লা বারান্দা বলে। ফ্ল্যাট বাড়ির গেট। কত মানুষ আসছে, কত মানুষ যাচ্ছে।
নায়লা বারান্দায় দাঁড়িয়ে রইল। বারান্দা অন্ধকার, বাইরে থেকে তাকে দেখা যাবে না। সে ঠিকই দেখতে পাবে। গেটের কাছে এখন দু’শ পাওয়ারের বাতি জ্বলে। এত দূরে থেকে মানুষ চেনার কথা না, কিন্তু নায়লা চিনাতে পারে।
কাজর মেয়ে ফিরুর মা রান্নাঘর থেকে তাকে ডাকছে। এমন চেঁচিয়ে ডাকার মানে কি? সে কি বাবুর ঘুম ভাঙাতে চায়? এরা কিছুই শিখবে না? কতবার বলা হয়েছে চেঁচিয়ে ডাকবে না। যা নিষেধ করা হয় এই মহিলা সেটাই বেশি করে।
’ও আম্মা। ও আম্মা।’
বারান্দা থেকে নড়তে ইচ্ছা করছে না। যে কোন মুহূর্তে জামান এসে পড়বে। দশটার ভেতর সে সব সময় বাড়ি ফেরে। রিক্শা থেকে নেমে সে গেট খুলে ঢুকছে এই দৃশ্য দেখতে নায়লার ভালো লাগে। অন্য কেউ এ কথা শুনলে তাকে পাগল ভাববে। রিক্শা থেকে নেমে একটা লোক গেট খুলে বাড়িতে ঢুকছে—এতে ভাল লাগার কি আছে? কিন্তু নায়লার ভালো লাগে। শুধু ভাল লাগা না—শান্তি শান্তি ভাব হয়।
’ও আ। ও আম্মা।’
’চেঁচাচ্ছ কেন? বাবু উঠে যাবে না?’
‘ভাইজানের গোসলের পানি দিয়া আসমু?’
গা জ্বালা করা কথা। এটা জিজ্ঞেস করার কি আছে? গোসলের গরম পানি বাথরুমে দিতে সে বলে এসেছে। ফিরুর মা’র মাথাটা কি খারাপ কি–না কে জানে।
আরও দেখুনঃ চাঁদের আলোয় কয়েকজন যুবক pdf বই ডাউনলোড বৃষ্টি ও মেঘমালা pdf বই ডাউনলোড
তাকে আম্মা ডাকছে, অথচ জামানকে ডাকে ভাইজান। ব্যাপারটা তাকে একলক্ষ বার বলা হয়েছে। যতই বলা হয় ততবারই সে জিবে কামড় দিয়ে বলে, কিচ্ছু মনে থাকে না। ফিরুর মরণের পর থাইক্যা মাথা গেছে আউলাইয়া….
এই এক সমস্যা। যে কোন প্রসঙ্গে সে ফিরুর কথা নিয়ে আসে। সেদিন নতুন চায়ের কাপ হাত থেকে ফেলে ভেঙে ফেলল।
নিচে ছায়াবীথি pdf বই এর স্ক্রিনশট ও ডাউনলোড লিংক দেওয়া হলোঃ
প্রকাশকঃ বইয়ের ধরণঃ উপন্যাস বইয়ের সাইজঃ 5.54 MB প্রকাশ সালঃ ইং বইয়ের লেখকঃ হুমায়ূন আহমেদ
ডাউনলোড সার্ভার-১ঃ Download Now