ছবি বানানোর গল্প pdf বই ডাউনলোড । আমার প্রথম দেখা ছবির নাম ‘বহুত দিন হোয়ে’। খুব যে আনন্দময় অভিজ্ঞতা তা না। আমার শিশুজীবনের খানিকটা গ্লানি ছবির সঙ্গে জড়িয়ে আছে।
বড় মামার সঙ্গে ছবি দেখতে গিয়েছি। মামা নিতান্তই অনাগ্রহের সঙ্গে আমাকে নিচ্ছেন। তার ধারণা বাতি নেভার সঙ্গে সঙ্গে আমি কাঁদতে শুরু করব। মাঝখান থেকে তার ছবি দেখা হবে না। আমি যে কাঁদব না তা মামাকে নানাভাবে বুঝানোর চেষ্টা করছি। মাম বুঝছেন না।
’কাঁদলে কিন্তু আছাড় দিয়ে ভুঁড়ি গালিয়ে ফেলব।’
’পিসাব পায়খানা যা করার করে নাও। ছবি শুরু হবে আর বলবে পিসাব–তা হবে না।’
-’আচ্ছা।’
’কোলে বসে থাকবে না নড়াচড়া করে না। নড়লে চড় খাবে।’
-’নড়ব না। ‘
এতসব প্রতিজ্ঞার পরেও মামা বিমর্ষ মুখে আমাকে নিয়ে রওনা হলেন। সিলেটের রঙমহল সিনেমায় ছব দেখতে গেলাম। গেটে দু’টা সিংহের মূর্তি। দেখেই গা ছমছম করে। মান হয় গেটের ওপশে না জানি কত রহস্য।
মামা টিকিট কিনলেন। সেসময় লাইন টাইনের কোন ব্যপার ছিল না। মনে হয় এখনো নেই, ধস্তাধস্তি করে টিকিট কাটতে হত। টিকিট হতে ফিরে আসা আর যুদ্ধ জয় করে ফিরে আসা কাছাকাছি ছিল। বাচ্চাদের কোন টিকিট লাগতো না। তারা কোলে বসে দেখতো কিংবা চেয়ারের হাতলে বসে দেখতো।
ছবি শুরু হতে দেরী আছে। মামা চা কিনলেন। আমার দু’পয়সার বাদাস এবং চানাভাজা কেনা হলো। মামা বললেন, এখন না। ছবি শুরু হলে খাবে। আমি ছবি শুরুর জন্যে গভীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি। চার দিকে লোকজন, হৈ চৈ কোলাহলে নেশার মত লাগছে। বুক ধক্ ধক্ করছে না জানি কি দেখব।
আরও দেখুনঃ ছায়াসঙ্গী pdf বই ডাউনলোড ছায়াবীথি pdf বই ডাউনলোড
ছবি শুরুর প্রথম ঘন্টা পড়ল। সেই ঘন্টাও অন্যরকম। বেজেই যাচ্ছে, থামছে না। লোকজন হলে ঢুকতে শুরু করেছে—-মামা ঢুকলেন না। আমাকে নিয়ে বাথরুমে ঢুকে গেলেন। গম্ভীর গলায় বললেন.’পিসাব কর। ছবি শুরু হবে, আর বলবে পিসাব তাহলে কান ছিঁড়ে ফেলব (প্রিয় পাঠক, মামা অন্য কিছু ছেঁড়ার কথা বলেছিলেন। সুরুচির কারনে তা উল্লেখ করছি না।)
নিচে ছবি বানানোর গল্প pdf বই এর স্ক্রিনশট ও ডাউনলোড লিংক দেওয়া হলোঃ
প্রকাশকঃ বইয়ের ধরণঃ জীবনী বইয়ের সাইজঃ 45.7 MB প্রকাশ সালঃ ইং বইয়ের লেখকঃ হুমায়ূন আহমেদ
ডাউনলোড সার্ভার-১ঃ Download Now
বই ডাউনলোড করতে কোন সমস্যা হলে অথবা নতুন কোন বইয়ের জন্য রিকুয়েস্ট করতে আমাদের Facebook Page অথবা Facebook Group এ জয়েন করুন