চোখের উচ্চচাপ গ্লুকোমা pdf বই ডাউনলোড । গ্লুকোমার ঠিক বাংলা কোন প্রতিশব্দ নেই। এটা চোখের একটা মারাত্বক অসুখ । সারা বিশ্বে অন্ধত্বের একটি প্রধান কারণ হলো গ্লুকোমা । এ রোগটি উন্নত এবং উন্নয়নশীল সব দেশেই প্রায় সমানভাবে বিস্তৃত । এক সমীক্ষায় দেখা গেছে বাংলাদেশে এটি অন্ধত্বের তৃতীয় কারণ এবং সাধারণত চল্লিশোর্ধ বয়সের নারী – পুরুষের শতকরা ২ জন এ রোগে ভুগে থাকেন ।
আমাদের দেশে বহু লোক গ্লুকোমা রোগে ভুগে নিজের অজান্তেই সারাজীবনের জন্য অন্ধ হয়ে যান । অথচ এটি কোন দুরারোগ্য ব্যাধি নয় । এ রোগের চিকিৎসা আছে । রোগটির উপসর্গ বা লক্ষণ প্রাথমিক পর্যায়ে ধরা গেলে খুব সামান্য ওষুধেই রোগটিকে নিয়ন্ত্রন করা যায় এবং প্রয়োজনবোধে কোন কোন ক্ষেত্রে অপারেশন করলে স্থায়ীভাবে সুস্থ থাকা সম্ভব । অথচ চিকিৎসা শুরু করতে দেরি হলে পরিনতি হলো অন্ধত্ব ।
শতকরা ৭০ থেকে ৮০ ভাগ গ্লুকোমার ক্ষেত্রেই রোগীর পক্ষে প্রাথমিক পর্যায়ে রোগটির কোন উপসর্গ বা লক্ষণ বোঝা সম্ভব হয় না । এক্ষেত্রে রোগী যথন অনুভব করেন যে , তিনি চোথে কম দেখছেন বা একেবারেই দেথছেন না , তখন সাধারণত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে যান । এমতাবস্থায় চোথের যা ক্ষতি হয়ে যায় তা স্থায়ীরূপে হয় । তবে দৃষ্টি যেটুকু আছে তা ধরে রাখার জন্যেই চিকিৎসার প্রয়োজন ।
আরও দেখুনঃ মন প্লাস হৃদয় pdf বই ডাউনলোড মোটুক মামার গোয়েন্দা অভিযান pdf বই ডাউনলোড
চোখের উচ্চচাপ গ্লুকোমা কখন হয়?
যেহেতু গ্লুকোমা ও চোখের ছানি দু’টো রোগই সাধারণত চল্লিশোর্ধ বয়সে হয় এবং এসব রোগীরা ক্রমশ চোখে কম দেখেন । তাই অনেকে গ্লুকোমা হওয়া সত্বেও চোখের ছানি মনে করে চিকিৎসকের কাছে যান না । এসব রোগীর দৃষ্টিশক্তি যথন একেবারে কমে যায় তখন ছানি পেকে গেছে ভেবে এবং অপারেশন করলে ভালো হবেন এ আশা নিয়ে চিকিৎসকের স্মরণাপন্ন হন । তাই রোগীকে বরণ করে নিতে হয় নীরব অন্ধত্বকে ।
সুতরাং এ রোগটি সম্পর্কে সচেতনতা রোগীসহ অন্য সকলেরই থাকা একান্ত প্রয়োজন । সে কারণেই আমরা সাধারণ মানুষের মধ্যে গ্লুকোমা সম্পর্কে একটি সঠিক এবং সাধারণ ধারণা দেবার আন্তরিক দায়িত্ব অনুভব করেছি। দেশের অধিকাংশ মানুষের কাছে বিষয়টিকে সহজে বোধগম্য করা এবং তাদের সচেতনতা সৃষ্টির ক্ষেত্রে মাতৃভাষার কোন বিকল্প নেই । আর সেজন্য বাংলাভাষায় এই রচনা করার প্রয়াস পেয়েছি । ইচ্ছাকৃতভাবে একই কথার পুনরাবৃত্তি এবং অত্যন্ত সহজভাবে সবকিছু বর্ণনা করতে চেষ্টা করেছি, যাতে বইটি সাধারণ মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য হতে পারে ।
রোগী যতক্ষণ না পর্যন্ত এ রোগের চিকিৎসার গুরুত্ব অনুধাবন করতে পারবেন ততক্ষণ পর্যন্ত গ্লুকোমার সাফল্যজনক নিয়ন্ত্রন বা সুচিকিৎসা সম্ভব হবে না । চিকিৎসক রোগীকে যখন পরীক্ষা করেন বা প্রথম যথন এ রোগ নির্ণয় করেন তখন এ রোগ সম্পর্কে হয়তো একটি প্রাথমিক ধারণা দেন । কিন্তু এ সময়ে রোগীর সকল প্রকার প্রশ্নের জবাব দেয়া সম্ভব না-ও হতে পারে । তাই এই বইটিতে রোগীদের মনের সম্ভাব্য সকল প্রশ্নের জবাব দেবার চেষ্টা করা হয়েছে।
নিচে চোখের উচ্চচাপ গ্লুকোমা pdf বই এর স্ক্রিনশট ও ডাউনলোড লিংক দেওয়া হলোঃ
প্রকাশকঃ বইয়ের ধরণঃ চিকিৎসা বই বইয়ের সাইজঃ 2.35 MB প্রকাশ সালঃ 2009 ইং বইয়ের লেখকঃ অধ্যাপক এম মুস্তাফিজুর গং
ডাউনলোড সার্ভার-১ঃ Download Now
বই ডাউনলোড করতে কোন সমস্যা হলে অথবা নতুন কোন বইয়ের জন্য রিকুয়েস্ট করতে আমাদের Facebook Page অথবা Facebook Group এ জয়েন করুন