ইন্দুবালা ভাতের হোটেল pdf বই ডাউনলোড। কুমড়ো ফুলের বড়া। জানলার কাছে বসন্তের নরম রোদে সার দিয়ে সাজানো আছে কাঁচের বড় বড় বয়াম। মুখ গুলো ঢাকা আছে পরিষ্কার সাদা কাপড়ের ফেট্টিতে। বয়াম গুলোকে বাইরে থেকে দেখলে বোঝা যায় না তার মধ্যে কি রসদ লুকিয়ে আছে। কিন্তু যারা এই বাড়িতে রোজ ভাত খেতে আসে তারা ঠিক জানে। ভাতের পাতে লেবু, নুন, লঙ্কা দেওয়ার পাশাপাশি উড়ে বামুন ধনঞ্জয় একটু করে শালপাতায় ছুঁয়ে দিয়ে যায় বয়ামের সেই লুকোনো সম্পদ।
কামরাঙা, কতবেল, জলপাই কিম্বা কোনদিন পাকা তেঁতুলের আচার। নতুন কাস্টমাররা অবাক হয়ে যায়। আর পুরোনো লোকেরা ভাবে আজ কোনটা পাতে আসবে? শুধু আচারের টানেই না, এই হোটেলে ভিড় লেগে থাকে পুব বাঙলার এক বিধবা মহিলার হাতের রান্না খেতে। ইন্দুবালা কবে যে এই ভাতের হোটেল শুরু করেছিলেন আর কেন করেছিলেন নিজেও ঠিক মনে করতে পারেন না।
আরও বই দেখুনঃ
- রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনো খেতে আসেন নি pdf বই ডাউনলোড
- রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনো আসেন নি pdf বই
- চোখের সাধারণ সমস্যা ও ১০০ প্রশ্ন উত্তর
- আহবান pdf বই ডাউনলোড
- চোখের উচ্চচাপ গ্লুকোমা pdf বই ডাউনলোড
তবু ভাসা ভাসা ছবির মতো মনে পড়ায় অনেক কিছু। শুধু সেবার যখন কোলের এক মেয়ে আর ছোট্ট দুই ছেলেকে নিয়ে বিধবা হলেন। সেদিন থেকে বুঝতে শুরু করেছিলেন যারা এতোদিন ঘিরে রাখতো তাদের। সুযোগ সুবিধাটা ঠিক মতো আদায় করে নিয়ে যেত তারাই এখন ছায়ার মতো সরে যাচ্ছে। স্বামীর জুয়া আর মদের নেশায় এতোদিন যারা আট-কপাটি পর্যন্ত বিক্রি করার সায় দিয়েছিলো তাদেরও আর দেখা গেল না বড় একটা।
তখনও খুলনা থেকে মাঝে মাঝে ভাইরা এসে খোঁজ খবর নিয়ে যেত। মা পোঁটলা করে পাঠাতো ভাজা চিড়ে, মুড়ি, বাড়ির সজনের ডাটা, চুইঝাল।
তারপর সেটাও বন্ধ হল। যুদ্ধ বাধলো। ভাইদের অনেক দিন কোন খোঁজ পেলেন না। একদিন সকাল বেলায় গাঁয়ের থেকে পালিয়ে আসা এক লোকের কথায় জানতে পারলেন পুড়িয়ে দিয়েছে সব কিছু পাকিস্তানী মিলিটারীরা। মা, ভাই, বোন আর কেউ বেঁচে নেই। এমনকি ভিটে বাড়িটাও। স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা যেদিন উড়লো। ইন্দুবালা নীচের ঘর ঝাঁট দিয়ে উনুন ধরালেন। ভাড়ারে চাল ছিল বাড়ন্ত। ছেলে মেয়ে গুলো ক্ষিদের জ্বালায় তারস্বরে কাঁদছিল।
পাওনাদার দাঁড়িয়েছিল রাস্তায়। লছমি মাছওয়ালী শেষ বাজারে একটু তাড়াতাড়ি বাড়ি ফিরছিলো। আর থমকে দাঁড়িয়ে পড়েছিল পুরনো দোতলা বাড়িটার সামনে। একটা বছর পঁচিশের মেয়ে সদ্য বিধবার সাদা ধবধপে শাড়িতে এলোচুলে চুপ করে বসে আছে ধরে ওঠা উনুনটার সামনে। উনুনে গুলের আঁচে ফর্সা মেয়েটার মুখ লাল হয়ে আছে। ওদিকে দূরে দাঁড়িয়ে আছে চিল শকুনের মতো পাওনাদাররা। লছমীর যেন কি একটা মনে হয়েছিল সেই মুহূর্তে। একটুও সময় নষ্ট করেনি সে। সোজা এসে দাঁড়িয়েছিল ইন্দুবালার সামনে।
নিচে ইন্দুবালা ভাতের হোটেল pdf বই এর স্ক্রীনশট ও ডাউনলোড লিংক দেওয়া হলোঃ
বইয়ের প্রকাশকঃ | সুপ্রকাশ |
বইয়ের ধরণঃ | উপন্যাস বিষয়ক |
বইয়ের সাইজঃ | 5.25 MB |
প্রকাশ সালঃ | ২০২০ সাল |
বইয়ের লেখকঃ | কল্লোল লাহিড়ী |
অনুবাদকঃ |
ডাউনলোড সার্ভার-১ঃ Download Now
যদি ডাউনলোড করতে কোন সমস্যা হয়। আর ওয়েবসাইটটি আপনার উপকারে কাজে আসলে আপনি একটি শেয়ার করে দিন।