অন্ধকারের গান pdf বই ডাউনলোড । বুলুদের এই বাাড়র মতো বাড়ি বোধহয় ঢাকা শহরে খুব বেশি নেই। পুরানো আমলের হিন্দু বাড়ি। তুলসি মঞ্ছ আছে। ছোট্ট একটা ঠাকুর ঘর আছে। ঠাকুরঘরের দক্ষিণে গহীন একটা কুয়া। বাড়ির গেটে সিংহের দু’টি মূর্তি।
প্রায় ত্রিশ বছর আগে, ১৯৫৮ সনে বাড়ির মালিক নিত্যরঞ্জন বাবুর কাছ থেকে বুলুর বাবা মিজান সাহেব এই বাড়ি কিনে নিয়েছিলেন। এত সস্তায় বাড়ি পেয়ে মিজান সাহেবের আনন্দের সীমা ছিল না।
পরে দেখা গেল নিত্যরঞ্জন বাবু এই বাড়ি দু’জনের কাছে বিক্রি করেছেন এবং তৃতীয় এক জনের কাছ থেকে বায়নার টাকা নিয়েছেণ। নিত্যরঞ্জন বাবুর মতো ভালোমানুষ ধরনের বোকা সোকা একটা লোক যে এই কান্ড করতে পারে তা মিজান সাহেব স্বপ্নেও ভাবেন নি।
মিজান সাহেবকে বাড়ির দখল নেয়ার জন্যে নানান কান্ড করতে হল। টাকা-পয়সা দিতে হলো, কোর্ট কাছারি করতে হল। নিত্যরঞ্জন বাবুর খোঁজে একবার কোলকাতায়ও গেলেন। দেখা গেল ঠিকানাটাও ভুয়া। অনেক হাঙ্গামা করে বাড়ির দখল মিজান সাহেব পেলেন কিন্তু তাঁর কোমর ভেঙে গেল। শুরুতে তাঁর কাছে এ বাড়ি যত সুন্দর লেগেছিল বাড়িতে উঠার পর তা লাগল না। বার-বার মনে হল এই বাড়িটা ভালো না, অশুভ কিছু এখানে আছে। ছেলে মেয়ে নিয়ে এখানে আসা উচিত হয় নি।
গেটের সিংহ দু’টিকে কোনো-কোনো রাতে জীবন্ত মনে হয়। বাড়ির পেছনের কুয়া থেকে মাঝে-মাঝে গভীর রাতে তিনি পানি ছিটানোর কল কল শব্দ পান। এ রকম শব্দ হবারও কথা নয়। হয় কেন? তিনি গেটের সিংহ দু’টি ভেঙে ফেললেন। কুয়ার কিছু করতে পারলেন না।
আরও দেখুনঃ 7 স্ট্র্যাটেজিস ফর ওয়েলথ এন্ড হ্যাপিনেস pdf বই বাদল দিনের দ্বিতীয় কদম ফুল pdf বই ডাউনলোড
বুলুদের অবশ্যি এই কুয়াা খুব পছন্দ। তারা যখন ছেঅট তখন কুয়ার ওপর ঝুঁকে পড়ে বলত—’টু টু টু।’কুয়া সেই শব্দ অনেকগুণে বাড়িয়ে ফিরত পাঠাত । পরে সেই ‘টু-টু’খেলার অনেক রকমফের হল। দেখা গেল কুয়া শব্দ উল্টো করে ফেরত পাঠাতে পারে। ‘বুলু’বলে চেঁচালে কিছুক্ষণ পরে শোনা যায়, ‘লুবু-লুবু-লুবু’ খুবই মজার ব্যাপার।
নিচে অন্ধকারের গান pdf বই এর স্ক্রিনশট ও ডাউনলোড লিংক দেওয়া হলোঃ
প্রকাশকঃ বইয়ের ধরণঃ এডভেঞ্চার বইয়ের সাইজঃ 8.62 MB প্রকাশ সালঃ ইং বইয়ের লেখকঃ হুমায়ূন আহমেদ
ডাউনলোড সার্ভার-১ঃ Download Now
বই ডাউনলোড করতে কোন সমস্যা হলে অথবা নতুন কোন বইয়ের জন্য রিকুয়েস্ট করতে আমাদের Facebook Page অথবা Facebook Group এ জয়েন করুন